প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে আগামী ৫ আগষ্ট শনিবার পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ৩১ জুলাই সোমবার রামু হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যেগে উপজেলা অবহিতকরন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাজাহান আলী।

তিনি বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ শিশুদের কথা চিন্তা করে সকলে মিলে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করা আমাদের দায়িত্ব। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা যাতে বাদ না পরে তার জন্য সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (এমওডিসি) ডা. রাজেত আল হাসান।

তিনি বলেন ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম রাসেল, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফ, সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার খন্দকার দেলওয়ার হোসেন, সঞ্চালক ছিলেন কম্পিউটার অপারেটর দীপংকর বড়ুয়া ধীমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আন্জুমান আরা বেগম, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ,স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংবাদিক দর্পণ বড়ুয়া, ধর্মীয় নেতা মৌলানা মোহাম্মদ আলম, সজল ব্রাহ্মন চৌধুরী, রাজেন্দ্র বড়ুয়া, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স, ফার্মাসিষ্ট সমর শর্মা, পরিসংখ্যানবিদ পংকজ পাল, এমটি ইপি আই আলী আকবরসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী রামু উপজেলার প্রায় ৫৩,৩০০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রামু স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ৭২০০ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪৬১০০ হাজার জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

উল্লেখ্য, ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ক্যাম্পেইনে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৩৩টি ওয়ার্ডের ২৭৮টি টিকাকেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে চার মাসের মধ্যে কোনো শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকে এই ক্যাম্পেইনে আর এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মাঠকর্মী বা এনজিও কর্মীদের নিজহাতে খাওয়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই অভিভাবকদের হাতে ক্যাপসুল দেওয়া যাবে না। কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কাঁচি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কেটে ভেতরের তরলটুকু খাওয়াতে হবে। আস্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশি ভিড় হয় দেখে কোনো কোনো মাঠকর্মী আগে-ভাগে অনেক ক্যাপসুল কেটে রাখেন, এতে ক্যাপসুলের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এটা করা যাবে না।